What is Programming language ?
Programming language কি জিনিস ?
কম্পিউটার তাে আসলে গণনা করার যন্ত্র, তাই না? যদিও আমরা এটি দিয়ে গান শুনি, ভিডিও দেখি, গেমস খেলি, আরও নানা কাজ
করি। আসলে শেষ পর্যন্ত কম্পিউটার বােঝে শূন্য (0) আর একের (1) হিসাব। তাই ব্যবহারকারী (user) যা-ই করুক না কেন,
কম্পিউটার কিন্তু সব কাজ গণনার মাধ্যমেই করে। কম্পিউটারের ব্যবহার এত ব্যাপক হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে নানা রকম
সফটওয়্যার দিয়ে নানা ধরনের কাজ করা যায় কম্পিউটারে। এসব সফটওয়্যার তৈরি করতে হয় প্রােগ্রাম লিখে অর্থাৎ কী হলে কী করবে
একটি প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার কি বোঝাতে হয়।
একসময় কিন্তু কেবল 0 আর 1 ব্যবহার করেই কম্পিউটারের প্রােগ্রাম লিখতে হতাে। কারণ কম্পিউটার তাে 0, 1 ছাড়া আর কিছু বােঝে
, আর কম্পিউটারকে দিয়ে কোনাে কাজ করাতে চাইলে তাে তার ভাষাতেই কাজের নির্দেশ দিতে হবে। 0, 1 ব্যবহার করে যে
প্রােগ্রামিং করা হতাে, তার জন্য যে ভাষা ব্যবহৃত হতাে, তাকে বলা হয় মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ। তারপর এল অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ। এতে
প্রােগ্রামাররা কিছু ইনস্ট্রাকশন যেমন ADD (যােগ), MUL (গুণ) ইত্যাদি ব্যবহারের সুযােগ পেল। আর এই ভাষাকে 0, 1-এর ভাষায়
নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব পড়ল অ্যাসেম্বলারের ওপর, প্রােগ্রামারদের সে বিষয়ে ভাবতে হতাে না। কিন্তু মানুষের চাহিদার তাে শেষ
নেই। নতুন নতুন চাহিদার ফলে নতুন নতুন জিনিসের উদ্ভব হয়। একসময় দেখা গেল যে অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়েও কাজ করা
ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। তাই বড় বড় প্রােগ্রাম লেখার জন্য আরও সহজ ও উন্নত নানা রকম প্রােগ্রামিং ভাষা তৈরি হলাে। যেমন - ফরট্রান
(Fortran), বেসিক (Basic), প্যাসকেল (Pascal), সি (C)। তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর এল আরও অনেক ল্যাঙ্গুয়েজ, যার মধ্যে
অন্যতম হচ্ছে, সি প্লাস প্লাস (C++), ভিজুয়াল বেসিক (Visual Basic), জাভা (Java), সি শার্প (C#), পার্ল (Perl), পিএইচপি (PHP),
পাইথন (Python), রুবি (Ruby)। এখনো কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা নিত্যনতুন প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করে যাচ্ছেন। প্রােগ্রামাররা এসব
ভাষা ব্যবহার করে প্রােগ্রাম লেখেন আর প্রতিটি ভাষার রয়েছে আলাদা কম্পাইলার, যার কাজ হচ্ছে ওই প্রােগ্রামকে কম্পিউটারের
বােধগম্য ভাষায় রূপান্তর করা, তাই এটি নিয়ে প্রােগ্রামারদের ভাবতে হয় না।
প্রােগ্রাম লেখার সময় প্রােগ্রামারকে তিনটি প্রধান কাজ করতে হয়। প্রথমে তার বুঝতে হয় যে সে আসলে কী করতে যাচ্ছে, মানে তার
প্রােগ্রামটি আসলে কী কাজ করবে। তারপর চিন্তাভাবনা করে এবং যুক্তি (logic) ব্যবহার করে অ্যালগরিদম দাঁড় করাতে হয়। মানে,
লজিকগুলাে ধাপে ধাপে সাজাতে হয়। এর পরের কাজটি হচ্ছে অ্যালগরিদমটাকে কোনাে একটি প্রােগ্রামিং ভাষায় রূপান্তর করা, যাকে
আমরা বলি কোডিং করা। একেক ধরনের কাজের জন্য একেক ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি উপযােগী।
Comments
Post a Comment